কোন দলের টিকিটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমপি হয়েছেন, প্রশ্ন রিজভীর

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পররাষ্ট্রনীতি এমনভাবে প্রকাশ্যে হাটে হাঁড়ি ভাঙার পর আওয়ামী লীগের নেতা ও মন্ত্রীরা বলছেন— তিনি আওয়ামী লীগের কেউ না। কিন্তু তিনি সিলেট মহানগর থেকে এমপি হয়েছেন কোন দলের টিকিটে?

রোববার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সরকারদলীয় নেতাদের প্রতি তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।

রিজভী বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অসংকোচ সত্য প্রকাশের পর দেশের জনগণের কাছে স্পস্ট হয়েছে যে, বিদেশি সরকারের মদদেই বর্তমান সরকার বিনাভোটে জগদ্দল পাথরের মতো ক্ষমতায় বসে আছে। আগামীতেও তারা যে বিনাভোটে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী তা পরিষ্কার করে বলেছেন। সরকার ১৩ বছর ভিন্ন দেশের মদতে জোর জবরদস্তি করে বন্দুকের নলের মুখে ক্ষমতায় থাকার কারণেই এখন গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে। একটা বিষয় স্পষ্ট যে, সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই। ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপের জন্য অনুরোধ করছে।

রিজভী অভিযোগ করেন, নিশিরাতের আওয়ামী নিষ্ঠুর সরকার গত এক যুগের বেশী সময় ধরে শুধুমাত্র তাদের অবৈধ ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে গোটা দেশে ভয়ঙ্কর এক নারকীয় পরিবেশ তৈরি করেছে। চরম দুঃশাসক, অরাজক ও ভয়াবহ কর্তৃত্ববাদী এই সরকার গুম-খুন ও ক্রসফায়ারের সরকারে রূপান্তরিত হয়েছে। জনগনের ঘাম ঝরানো টাকায় পরিচালিত পুলিশ-র্যা বসহ গোয়েন্দা এজেন্সিগুলো অন্যায়ভাবে ভিন্ন মতাবলম্বীদের ওপর লেলিয়ে দিয়ে ফ্যাসিবাদী সরকার এ রাষ্ট্রকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক সন্ত্রাসী ও বিপজ্জনক রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। পরিণতিতে জনসমাজে সৃষ্টি হয়েছে আতঙ্কের এক ভীতিকর পরিবেশ।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এ দেশের সাবেক র্যা বপ্রধানসহ সাতজন কর্মকর্তাকে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ফলে বেশ কিছুদিন ক্রসফায়ার বন্ধ রয়েছে। তবে গুম থেমে নেই। যা দেশের নাগরিক বিশেষ করে ভিন্নমতের মানুষের জন্য আতঙ্কজনক। সারাদেশে আয়নাঘর নিয়ে তোলপাড় চললেও বন্ধ করা হচ্ছে না বাংলাদেশি গ্যাস চেম্বার গুমঘর। বরং ধামাচাপা দেও জন্য একটার পর একটা ইস্যু তৈরি করছে সরকার। আমরা অবিলম্বে ববিনধরহস্য উদ্ঘাটন করার জন্য জাতিসংঘকে দিয়ে তদন্তপূর্বক দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।